আমার স্ত্রী বাবুকে বলে বাবাকে দোয়া করে দাও : মিরাজ
বিয়ে করেছেন ২০১৯ সালের মা’র্চে। গত বছরের অক্টোবরে হয়েছেন পুত্রসন্তানের জনক। ছেলের বয়স মাত্র চার মাসে পড়েছে। খেলতে নামলে পরিবারের সবার তো বটেই, ওই ছোট্ট ফুটফুটে ছেলের দোয়াও মাথার ওপর থাকে মেহেদি হাসান মিরাজের।





জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা উৎসর্গ করেছেন পরিবারের সবাইকে। আলাদা করে বলেছেন ছেলের কথা। প্রথমবারের মতো বাবা হওয়ার অনুভূ’ত িটা যে এখনও তরতাজা।
সেঞ্চুরি উৎসর্গের ব্যাপারে মিরাজ বলেন, ‘উৎসর্গ অবশ্যই পরিবারের সব সদস্যকে করতে চাই। মা-বাবা, আমা’র জন্য দোয়া করেন। আমা’র স্ত্রী আছে, ছোট বাবু আছে। আমা’র স্ত্রী বাবুকে বলে বাবাকে দোয়া করে দাও। একটুকু বাচ্চা সে কি বুঝে? তবু তাকে দোয়া করতে বলা হয়। পরিবার সবসময়ই আমা’র জন্য দোয়া করে।’





এই সেঞ্চুরি অলরাউন্ডার হিসেবে কতটুকু প্রতিষ্ঠা এনে দেবে? এমন প্রশ্নে মিরাজের জবাব, ‘আমা’র নিজের জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। আমি নিজে খুব একটা আ’ত্মবিশ্বা’সী ছিলাম না। কিন্তু এখন আমা’র মধ্যে বিশ্বা’স জন্মেছে যে, যদি আমি ব্যাটিং নিয়ে আরও পরিশ্রম করি, কাজ করি; তাহলে অবশ্যই ভালো অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব। আমা’র কথা হলো, যেহেতু আমা’র সুযোগ আছে, তাহলে কেন আমি সেই সুযোগ কাজে লাগাব না?’
আন্তর্জাতিক আঙিনায় একজন অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে যে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে, সেটি ভালো করেই মাথায় আছে মিরাজের। তার ভাষায়, ‘আসলে পরিশ্রম অনেক করতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকে’টে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। যারা অ’ভিজ্ঞ হয়েছে তারা কিন্তু একদিনে হয়নি। এখনও তারা পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমা’দের জুনিয়রদের অ’ভিজ্ঞদের দেখে শেখা উচিত। আমি নিজেও শিখি। ভালো খেলার জন্য তারা যে ক’'ষ্ট করেছে, আমি তাদের দেখে পরিশ্রম করার আ’ত্মবিশ্বা’সটা পাই।’




