যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটিতে সুযোগ পেলেন চাঁদপুরের নাফিস
আমি কখনো ভাবিনি বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) পড়ার সুযোগ পাব। এ জন্য আমি বলবো, আমি অনেক লাকি।
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
কারণ বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর একজন বা দুজন এমআইটিতে পড়ার সুযোগ পায়। এতে আমি অবাক হয়েছি, আনন্দিত হয়েছি। এ জন্য আমার বাবা মা, আমার শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে কৃতজ্ঞ।
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
এক সাক্ষাতকারে এভাবে কথাগুলো বললেন এমআইটিতে সুযোগ পাওয়া চাঁদপুর সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাফিস উল হক ওরফে সিফাত।
জানা যায়, বাংলাদেশি পড়ুয়াদের মধ্যে নাফিস সবচেয়ে কম বয়সে এইচএসসিতে পড়ালেখা অবস্থায় এমআইটিতে আন্ডার গ্রাজুয়েটে (স্নাতক) পড়ার সুযোগ পান। গত ১৫ মার্চ তার এই কনফারমেশন লেটার হাতে আসে এমআইটি থেকে।
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকেন নাফিস। তার দাদার বাড়ি মতলব নওঁগা এলাকায়।
নাফিস জানান, বাবা মো. নাসির উদ্দিন মতলব রয়মননেসা মহিলা কলেজে ও মা কামরুন নাহার হাজীগঞ্জ মডেল কলেজে শিক্ষকতা করেন। দুই ভাই বোনের মধ্যে সে ছোট। বোন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। নাফিস চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন।
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
নাফিস বলেন, আমার ছোট বেলা থেকে স্বপ্নও ছিল কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করার। সে লক্ষ্য নিয়ে আমি সব সময় বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে অংশ গ্রহণ করতাম। তিনি জানান, আমি কখনোই নির্দিষ্ট করে এমআইটির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কারণ অনেক ট্যালেন্ট ছাড়া এমআইটিতে কেউ সুযোগ পায়না। এমনটা কনফিডেন্টও ছিলাম না এমআইটিতে সুযোগ পাব। তারপরও আমি ট্রাই করেছি। দেখি কি হয়। শেষ পর্যন্ত দেখলাম আমি সত্যি সুযোগ পেয়েছি। এতে মনে করি আমি অনেক লাকি।
নাফিসের এই সফলতায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। এ সময় চাঁদপুর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাস বলেন, আমার কলেজ নাফিস এমআইটিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। সেটা তার চেষ্টা ছিল। কারণ সে সব সময় বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা বা গবেষনার আগ্রহ ছিল। সেটারই প্রতিফলনে এটা হয়েছে। শুধু আমার কলেজে নয়, খোঁজ নিলে দেখা যাবে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ রকম অনেক নাফিসকে খুঁজে পাওয়া যাবে। আমি আশা করবো, অনুসন্ধান করলে আমরা অনেক নাফিসকে বের করে আনতে পারবো।
এদিকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজে নাফিসকে ফুল দিয়ে বরণ নেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নাফিস শুধু চাঁদপুরের নয়, পুরো বাংলাদেশের গর্ব। কারণ নাফিস এদেশের মুখ উজ্জল করেছে। আমি তার সাফল্যতায় সব সময় পাশে থাকবো।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিক্স (আইওআই) এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে নাফিস।
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)
![](https://i.imgur.com/rJsdKzR.png)