আল জাজিরার অপসাংবাদিকতা : সচেতন ও সতর্ক থাকা অতিজরুরি
১৯৯৬ সালে আরব বিশ্বের প্রথম ২৪ ঘণ্টার সংবাদ চ্যানেল হিসেবে আ'ত্মপ্রকাশ করা আল জাজিরা একদা বাংলাদেশের ইতিহাস 'বিকৃতিতে অ’পরাধের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল, বর্তমানে পুনরায় উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে শান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অশান্ত করার ষ'ড়যন্ত্রে লি'প্ত রয়েছে। স'ন্ত্রাসবাদী মতাদর্শে বিশ্বা'সী কাতারভিত্তিক এই টিভি চ্যানেল এখন বিশ্বের বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত। এটি সর্বপ্রথম আলোচনায় আসে ওসামা বিন লাদেনের সাক্ষাৎকার ও আল কায়েদা সম্পর্কিত খবর প্রচারের মাধ্যমে।





২০১৩ সাল থেকে তালেবান, আল কায়েদা, মুসলিম ব্রাদারহুড ও আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিশ্বের কাছে খবর পৌঁছানোর মাধ্যম হয়ে ওঠে এটি। ইতোমধ্যে কাতার থেকে জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার তথ্যপ্রমাণও প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বমিডিয়ায়। এই টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন স'ন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অ’পতৎপরতার ভিডিও-চিত্র প্রচারিত হয়ে থাকে হরহামেশায়। আন্তর্জাতিক অ’পরাধী চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় এমনটি সম্ভব হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কারণ ঘটনা ঘটতে পারে এ সংবাদ তাদের সংবাদকর্মীরা আগে থেকে পেয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের ইতিহাসে অ’পসাংবাদিকতার নাম আল জাজিরা। এমনকি মিশরে বর্তমানে নি'ষি'দ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষে সংবাদ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল এই টিভির সাংবাদিকদের। ফলে একাধিক সাংবাদিক চাকরি ছেড়ে দেন। এই চ্যানেলটির বিরু'দ্ধে মিশর ও অন্য আরব দেশগু'লো নিয়ে গোপ'ন তৎপরতার কথাও জানা গেছে।





এজন্যই আফগানিস্তানে আল কায়েদা পরিচালিত অ’পারেশন, আ'ত্মঘা'তী হাম'লা, ২০০৭ সালের ৭ জুলাই-এ লন্ডনে আ'ত্মঘা'তী বো'মা হাম'লা প্রভৃতি ঘটনা একমাত্র আল জাজিরায় প্রচারিত হয়েছিল। এই চ্যানেলটি উগ্রবাদী মতাদর্শে পরিচালিত ও সেই রাজনৈতিক মতাদর্শের মুখপত্র। যুক্তরা'ষ্ট্র আল-জাজিরার বিরু'দ্ধে অ'ভিযোগ এনেছে এভাবে, এই মিডিয়া নারীর ক্ষ'মতায়নের বিরোধী, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, ধর্মীয় উস্কানি ও হলুদ সাংবাদিকতার পরিপোষক।
২০০৯ সালের পর শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে অ’পপ্রচার করে চলেছে আল জাজিরা। তাদের সংবাদ পরিবেশনায় বর্তমান সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক খবর সবসময় স্থান জুড়ে বসেছে। তবে বিশ্বব্যাপী অনেক আগে থেকে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে এই চ্যানেলটি পক্ষপাতমূলক কার্যক্রমে লি'প্ত । উস্কানিমূলক ও বিতর্কিত সংবাদ পরিবেশনের জন্য ২০১৭ সালের মে মাসের শেষ দিকে আল জাজিরার ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয় সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিশর এবং বাহরাইন।





২০১৯ সালে তিনজন ব্যক্তির গু'ম হওয়ার সাথে বাংলাদেশের একজন উর্'দ্ধতন নিরাপ'ত্তা ও সামর'িক কর্মক'র্তার যোগসাজশ নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই ওয়েবসাইটটি। আসলে এই মিডিয়ার বিরু'দ্ধে ক্রমাগত স'ন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা ও ম'দদ দানের অ'ভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অনেক দেশের অভ্যন্তরীণ বি'ষয় নিয়ে আপ'ত্তিকর সংবাদ পরিবেশনের দৃ'ষ্টান্ত স্থাপন করেছে তারা। ফলে দেশে দেশে নিরাপ'ত্তা হু’মকির সম্মুখীন হয়েছে, বিভ্রা'ন্তিতে পড়েছে জনগণ।
মনে রাখা দরকার, একসময় প্রতিবেদনের পর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় এবং যু'দ্ধাপরাধীদের বিচার হলে দেশ রাজনৈতিক অ'স্থিতিশীলতার মধ্যে পতিত হবে বলেও তথ্য উপস্থাপন করে আল জাজিরা। সেসময় বিশ্বের কাছে যু'দ্ধাপরাধীদের বিচারকে প্রহসন হিসেবে উপস্থাপন করেছিল এবং একাত্তরের কুখ্যাত ও চিহ্নিত যু'দ্ধাপরাধীদের ইসলামী চিন্তাবিদ সাজিয়ে তাদের ভাবমূর্তি তৈরির একটি চে'ষ্টা দেখা গিয়েছিল।





২০১১ সালের ১০ আগস্টে এক প্রতিবেদনে বলা হয়- ‘It is the first time in the country’s history that evidence of war crimes will be brought before a judge, but there are accusations that the government is using the trials to round up the opposition’.২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর ‘দি পলিটিকালাইজেশন অব বাংলাদেশস ওয়ার ক্রা'ইম ট্রাইব্যুনাল’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তালহা আহমেদ নামের একজন প্রতিবেদক বাংলাদেশের চলমান যু'দ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উপস্থাপনের অ’পচে'ষ্টা করেন। আল জাজিরা টেলিভিশন তথা মিডিয়ার সম্পর্ক এদেশের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে। যে দলটি মুক্তিযু'দ্ধের বিরু'দ্ধাচারণ করে এসেছে এবং আন্তর্জাতিক অ’পরাধ ট্রাইব্যুনালের দৃ'ষ্টিতে এ দলটি অ’পরাধী। আল জাজিরার আরও বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে জামায়াতের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়।
বিশেষ করে ‘বাংলাদেশ পলিটিশিয়ান অ্যাকিউজড অফ ওয়্যার ক্রা'ইম’ শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রতিবেদক যু'দ্ধাপরাধী গো'লাম আযমের পক্ষে সাফাই গেয়েছিল। ২০১৪ সালে আমর'া দেখেছি যু'দ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধা'রাবাহিক নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করেছিল কাতারি রাজ পরিবারের মালিকানাধীন এই টেলিভিশন চ্যানেলটি। তখন আন্তর্জাতিক অ’পরাধ ট্রাইব্যুনাল সংক্রা'ন্ত যে কোনো সংবাদ উপস্থাপনের ধরন দেখে মনে হয়েছিল তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবি'দ্ধ করা।





সেই অ’পপ্রচারের মাত্রা এখন বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে কেন্দ্র করে ডাল-পালায় বিস্তার লাভ করেছে। যু'দ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মৃ'ত্যুদ'ণ্ডের রায়ের পরও আল জাজিরার ভূমিকা ছিল ন্যক্কারজনক। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যু'দ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উপস্থাপন করা হয় একটি অনুষ্ঠানে যেখানে টবি ক্যাডম্যান এবং ডেভিড বার্গম্যান উদ্দেশ্যমূলকভাবে দর্শকশ্রোতার মধ্যে বিভ্রা'ন্তি ছড়ায়।
এমনকি যু'দ্ধাপরাধী মো. কামা'রুজ্জামানের মৃ'ত্যুদ'ণ্ডের চূড়ান্ত রায়ের পর ‘বাংলাদেশ পার্টি চিফ টু হ্যাং ফর ওয়ার ক্রা'ইমস’ শিরোনামে এক সম্প্রচারে ৩০ লক্ষ মানুষের শ’হীদ হওয়ার বি'ষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলা হয় ইতিহাসবিদদের হিসাবে মুক্তিযু'দ্ধে ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষ মা'রা গেছে। আল-জাজিরাকে জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে। যু'দ্ধাপরাধীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছিল। এখনও এখানকার অ’পরাধীদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলে এই চ্যানেলটি। আল জাজিরা জঙ্গিবাদকে উস্কে দিয়েছে এবং ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের যু'দ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তি বলে চালিয়ে দেওয়ার চে'ষ্টা করেছিল। এভাবে যু'দ্ধাপরাধীদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে সকল শুভপ্রয়াসের বিরু'দ্ধে অবস্থান নিয়েছিল আল জাজিরা। কেবল এই ইস্যু নয় আরো অনেক বি'ষয়ে তাদের নাক গলাতে দেখা গেছে।
২০১১ সালের জানুয়ারিতে সাভারের একটি ইটভাটা থেকে শিশু ও নারীসহ শেকলবন্দী ৩০ জনকে উ'দ্ধার করে র্যাব'। সে সময় দেশ-বিদেশি মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়েছিলো ওই ঘটনা। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুই মাস পর পুনরায় ভিডিও চিত্রসহ ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে আল জাজিরা। আল জাজিরার ওয়েবসাইটের এশিয়া বিভাগের “হোয়াট’স হট” অংশে গু'রুত্বের সঙ্গে ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারির ওই ঘটনাটির ভিডিওচিত্র প্রচার করা হয় ‘পু'লিশ রেইড বাংলাদেশ স্লাভ ক্যাম্প’ শিরোনামে। শ্রমিকদের নি'র্যা'তনের যে চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছিল তা ছিল অতিরঞ্জিত। মূলত শেখ হাসিনা সরকারকে প্রশ্নবি'দ্ধ করাই তাদের একমাত্র কাজে পরিণত হয়েছে।





বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার হীন প্রয়াস এখনও চলছে। এর আগেও একাধিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে গু'ম বেড়েছে বলে প্রচার করা হয় যা ছিল ভিত্তিহীন। ‘র্যাব'’ও তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছিল। টিভি চ্যানেলটি বিএনপি-জামায়াতের পক্ষাবলম্বী হওয়ায় বাংলাদেশের এলিটফোর্সকে নিয়ে তারা একাধিক প্রতিবেদন প্রচার করে। ‘ফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেনসেস সার্জ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের লেখক ছিলেন ডেভিড বার্গম্যান। এই লেখকও বিতর্কিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের ইতিহাসে অ’পসাংবাদিকতার নাম আল জাজিরা। এমনকি মিশরে বর্তমানে নি'ষি'দ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষে সংবাদ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল এই টিভির সাংবাদিকদের। ফলে একাধিক সাংবাদিক চাকরি ছেড়ে দেন। এই চ্যানেলটির বিরু'দ্ধে মিশর ও অন্য আরব দেশগু'লো নিয়ে গোপ'ন তৎপরতার কথাও জানা গেছে একাধিক সূত্রে। ২০১৪ সালে দোহায় আল জাজিরার সম্পাদকীয় বোর্ড থেকে পদ'ত্যাগ করেন চার সদস্য। মিশর নিয়ে আল-জাজিরার ‘পক্ষপাতমূলক সম্পাদকীয় নীতি’কে নিজেদের পদ'ত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন তারা।





পশ্চিমা বিশ্বেও এই টেলিভিশন চ্যানেলটিকে দেখা হয় স'ন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের পরোক্ষ কিংবা কখনও প্রত্যক্ষ ম'দদদাতা হিসেবে। এজন্য যুক্তরা'ষ্ট্রে এর জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। বলা হয়ে থাকে, এর রয়েছে টেররিস্ট নেটওয়ার্ক৷ আল জাজিরার বিরু'দ্ধে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচারের কারণে ২০১০ সালে আল জাজিরা টেলিভিশনের কুয়েত শাখার কার্যালয় বন্ধ করে দেয় সেখানকার সরকার। এর আগেও একবার ২০০২ সালের নভেম্বরে আল জাজিরা কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছিল কুয়েত সরকার। দীর্ঘ আড়াই বছর পর ২০০৫ সালের মে মাসে কার্যালয়টি পুনরায় চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অ'ভিযোগে আল-জাজিরার একাধিক সাংবাদিককে কারা'দ'ণ্ড দেয় মিশরের আ'দালত। অ'ভিযুক্ত সকলেই জঙ্গি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর'্থন ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অ'ভিযোগে দোষী ছিল। ২০১৫ সালে ‘মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর’ অ'ভিযোগে আল জাজিরার তিনজন সাংবাদিককে দোষী সাব্যস্ত করে মিশর। ২০০২ সালে আল জাজিরায় সৌদিদের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি পরিকল্পনার কভারেজ নিয়ে ক্ষু'ব্ধ হয়ে কাতার থেকে রা'ষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয় সৌদি আরব। ২০০৮ সালে রা'ষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠানো হয়।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, সাংবাদিকদের হলুদ সাংবাদিকতায় বাধ্য করা, জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ এবং অনৈ'তিকভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অ’পচে'ষ্টা ই'ত্যাদি অ'ভিযোগ এনে আল জাজিরার ব্যুরো প্রধান মোহাম্ম'দ ফাহমিসহ মিশরে ২২ জন সাংবাদিক পদ'ত্যাগ করেন। একই অ'ভিযোগ এনে এবং জাজিরাকে অ’পপ্রচারের মেশিন হিসেবে অ'ভিহিত করে পদ'ত্যাগ করেন লিবিয়া প্রতিনিধি আলী হাশেম, বার্লিন প্রতিনিধি আখতাম সুলেমান।





ধর্মীয় উস্কানি, জিহাদের অ’পব্যাখ্যা দিয়ে উগ্রবাদী ধারণা প্রচার, জঙ্গিদের দেশপ্রেমিক হিসেবে আখ্যা দেয়া, বো'মা হাম'লা ও আ'ত্মঘা'তী হাম'লাকে জান্নাতের সফর বলে উল্লেখ করাসহ নারীর ক্ষ'মতায়ন নিয়ে বিতর্কিত অনুষ্ঠান প্রচারের কারণে বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এই মিডিয়া। মূলত আল জাজিরা আরববিশ্বের কলঙ্ক। পৃথিবীর মানুষ যেখানে শান্তির পক্ষপাতী সেখানে একটি টিভি চ্যানেল রাতদিন ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার করে চলেছে অশান্তির বার্তা। এই মিডিয়ার সকল কার্যক্রম সম্পর্কে আমা'দের সচেতন ও সতর্ক থাকা অতিজরুরি। গণতন্ত্র ও মানবতাকে রক্ষা করতে হলে আল জাজিরার বিরু'দ্ধে কথা বলতেই হবে।