ঝিনাইদহে ছাই কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ফায়ারম্যান আহত
ঝিনাইদহের অনিন্তা নগর গ্রামে তাজী এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ছাই কারখানায় ভ'য়াবহ অ'গ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে এ অ'গ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঝিনাইদহ, মাগু'রা ফা’য়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগু'ন নিয়ন্ত্রণের চে'ষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে আগু'ন নেভাতে গিয়ে ঝিনাইদহ ফা’য়ার স্টেশনের ফা’য়ারম্যান মহব্বত আলী আ'হত হয়েছেন। পরে তাকে উ'দ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।





ঝিনাইদহ ফা’য়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক শামীমুল ইসলাম জানান, আগু'ন লাগার পর কয়েকটি টিম নেভানোর কাজ করছে। এখন পর্যন্ত আগু'ন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। কখন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে তা-ও বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, এই কারখানার ভেতর নতুন আরও একটি গোডাউন তৈরির কাজ চলছিল। সেসময় ওয়েল্ডিং মেশিন থেকে আগু'নের সূত্রপাত হয়। তবে ক্ষক্ষ'তির মাত্রা আগু'ন নির্বাপণ শেষ না করে বলা যাব'ে না।
‘এই কারখানার ফা’য়ার লাইসেন্স ছিল কি-না, তা আমর'া ক্ষ'তিয়ে দেখছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কারখানার পাটকাঠির সঙ্গে দাহ্য কোনো রাসায়নিক মেশানো থাকতে পারে। কেননা ছাইতে পানি দিলেই আগু'ন ভ'য়াবহ আকার ধারণ করছে’, বলেন ঝিনাইদহ ফা’য়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক শামীমুল ইসলাম।





স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাই বলেন, ‘আমর'া বারবার এই কারখানা বন্ধের কথা বলেছি, সবাই মিলে বাধা দিয়েছি। কিন্তু প্রভাবশালীদের দ্বারা, প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় তারা এ গু'লো চালিয়ে যাচ্ছেন।’ অ’পর বাসিন্দা ছবিতা খাতুন বলেন, ‘এখানে পাটকাঠি পু'ড়িয়ে ছাই তৈরি করেন চীনা নাগরিক ও কিছু বাংলাদেশি।





পরে এগু'লো বস্তাব'ন্দি করে জাহাজযোগে চীনে পাঠিয়ে দেয়া 'হতো। প্রায় ১০ বছর কারখানাটি চলছে। মাঝে মাঝেই আগু'ন লাগে, ব্যাপক ক্ষ'তি হয় কিন্তু প্রশাসনের নজরে আসে না। আমা'দের ক্ষ'তি 'হতেই থাকে।’
তিনি আরও জানান, যখন পাটকাঠিতে আগু'ন দিয়ে ছাই তৈরি করা হয় তখন পুরো এলাকা'টা কালো ধোঁয়াই ছেয়ে যায়। এতে শিশুদের হাঁপানিসহ সব বয়সের মানুষ নানা সমস্যায় পড়ে।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক নাসিমুর রহমান ক্ষো'ভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ধরনের কারখানাগু'লো জনবসতি স্থানে কখনোই করা উচিত না। গ্রামের মাঝে কারখানাটি কিভাবে গড়ে উঠেছে প্রশাসন কি এটা দেখে না?’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. লিমন পারভেজ জানান, আ'হত ফা’য়ারম্যানের মুখমণ্ডল আগু'নের তাপে ফুলে গেছে। এখনই বলা যাচ্ছে না অবস্থা আশ'ঙ্কাজনক কি-না।
কারখানাটির চীনা নাগরিকদের সঙ্গে মালিকানায় থাকা নাজমুলের সঙ্গে কথা বলার চে'ষ্টা করা হলেও তিনি কিছু না বলে ঘটনাস্থল দ্রুত 'ত্যাগ করেন।





এর আগে ২০১৫ সালের শেষের দিকে কারখানাটিতে অ'গ্নিকাণ্ডে এক চীনা নাগরিকসহ গু'রুতর দগ্ধ হন চারজন। সেসময় দুদিন চে'ষ্টার পর আগু'ন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। পরবর্তীতে তৎকালীন জে'লা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদারসহ প্রশাসনিক কর্মক'র্তারা পরিবেশের ছাড়পত্র, ফা’য়ার লাইসেন্স না থাকা ও ভ'য়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় কারখানাটি স্থায়ী বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে কারখানা ক'র্তৃপক্ষ তাদের বৃ'দ্ধাঙ্গু'লি দেখিয়ে আবারো সেটি চালু করে কাজ করে আসছিল। তার আগে ২০১৫ সালের প্রথম দিকে আবারো আগু'নের ঘটনা ঘটেছিল।