বগুড়ার ঘটনায় বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে
বগুড়ায় অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগে বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে মন্ত্রণালয় সংযুক্ত করা হয়েছে।
বগুড়ায় অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগে অতিরিক্ত জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাকে বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছেন; -এমন অভিযোগে স্কুলের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলের সামনের রাস্তা বন্ধ করে কয়েক দফায় প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়েদের কাছ থেকে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের ক্লাসরুম পালাক্রমে পরিষ্কার করে আসছে। ক্লাস এইটের একটা মেয়ের ওপর যেদিন নিয়ম অনুযায়ী ক্লাসরুম পরিষ্কারের দায়িত্ব আসে সেদিন সে জানায়, পরিষ্কার করতে পারবে না। কারণ তার মা বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের একজন বিচারক।
তার সহপাঠীরা এ নিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সেই মেয়ে ক্লাসরুম পরিষ্কার করেনি। বরং সামাজিক মাধ্যমে লিখে “হ আমি জাজের মেয়ে দেখে ভাব দেখাই। পারলে তোর মা কেও জাজ হয়ে দেখাতে বল আইসে বস্তি”। ক্লাসের অন্য মেয়েরা ওই পোস্টে কমেন্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
এরপর তার মা বিচারক রুবাইয়া ইসলাম ওই স্কুলে এসে তিন ছাত্রীকে তাদের অভিভাবকসহ ডেকে পাঠান। ওই বিচারক ওই ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সাইবার অপরাধে মামলা করার ভয় দেখান এবং অভিভাবকদেরকে তার পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করান।
ওই ঘটনার পর বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাস্তা অবরোধ করে ওই বিচারকের শাস্তি দাবি করে।