শেষ ওভারের নাটকীয়তায় রংপুরের জয়
শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের দরকার ছিল ২ রান। হাতে ছিল ১ উইকেট। শামীম পাটোয়ারী ওভারের দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে নন-স্ট্রাইকে গেলে ম্যাচ টাই হয়ে যায়। কিন্তু পরের বলেই আউট সাইড এজে বাউন্ডারি পান হাসান মাহমুদ। ফলে এক উইকেটে জয় পায় রংপুর।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করেছে বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন কাইল মেয়ার্স। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৩ বলে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মুমিনুল হককে হারিয়েছে রংপুর। ২ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি এই ওপেনার। তবে আরেক ওপেনার ব্যান্ডন কিং এদিন রীতিমতো ঝড় তোলেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তিনে নামা সাকিব। দ্বিতীয় উইকেট এই দুজন দলকে জয়ের পথে রাখেন।
৪৫ রান করে কিং সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর সাকিবও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ২৯ রান। সুবিধা করতে পারেননি শেখ মেহেদি ও নুরুল হাসান সোহানরা। তাদের দ্রুত ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরে বরিশাল।
তবে টম মোর ও জিমি নিশামের ৩১ রানে জুটিতে আবারও ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নেয় রংপুর। মোরের ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান, আর নিশাম করেছেন ২৮ রান। শেষ দিকে দলের হাল ধরেন প্রিটোরিয়াস। এই প্রোটিয়ার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ রান।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন বরিশালের দুই ওপেনার। ২০ বলে ৩৩ রান করে তামিম ফিরলে ভাঙে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে মেয়ার্স। এই ক্যারিবিয়ান টম ব্যান্টনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন।
২৪ বলে ২৬ রান করেছেন ব্যান্টন। এই অজি ওপেনার ফেরার পরই মূলত পথ হারায় বরিশাল। পরের ওভারেই ধস নামে বরিশালের ইনিংসে। রনি ১৩তম ওভারে সাজঘরে ফেরান মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার ও মেয়ার্সকে।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বরিশাল। পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট নিয়ে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন রনি। যা এবারের বিপিএলে কোনো বোলারের সেরা ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ওবেদ ম্যকয় ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাটে দেড়শো পার করেছে বরিশাল।