অর্থের অভাবে মায়ের মরদেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটলেন ছেলে!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে অমানবিক দৃশ্য। অর্থের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স না মেলায় মায়ের মরদেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে দেখা গেলো ছেলেকে। পাশে মৃতের স্বামী।

গতকাল (৫ জানুয়ারি) এমনই মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা। যা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে।

এই ঘটনার ফলে রাজ্য সরকারে সমালোচনা করছে বিরোধীদলগুলো। কেউ কেউ রাজ্য সরকারের সমব্যথী প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ কেউ মারা গেলে তার দাহ করার জন্য সরকার থেকে এই প্রকল্পের অধীনে অর্থ সরবরাহ করা হয়।

জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীরানী দাস। অসুস্থ হয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জেলার সরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল সকালে ওই নারীর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল থেকে ক্রান্তির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। মায়ের মরদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে লাশবাহী গাড়ির খোঁজ করেন ছেলে। তিন হাজার রুপি দাবি করে সেই গাড়ি। কিন্তু এতো দেওয়ার সামর্থ নেই দিনমজুর ছেলের।

নিরুপায় হয়ে ছেলে ঠিক করেন মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই ৫০ কি.মি. পথ হেঁটেই বাড়ি যাবেন। সঙ্গ দেন মৃতের স্বামী। কিছুটা হাঁটা কিছুটা বিশ্রাম, এইভাবে পথ চলা শুরু করেন বাপ-ছেলে। সেই দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে যায় স্থানীয়রা। এরপরই এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় লাশবাহী গাড়িতে করেই বাড়িতে পৌঁছায় মৃতদেহ।

অন্যদিকে এ ঘটনার পরে রাজ্য সরকারের করা সমালোচনায় নেমেছে বিরোধীরা। এদিকে, গোটা বিষয়কে দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

Back to top button