শাকিবের ছবিতে ১০০ বন্ধ হল খোলে, মুক্তির আগেই কোটি টাকা ওঠে: কাজী হায়াৎ

সুপারস্টার শাকিব খানের স্টারডম ও মার্কেট ভ্যালু নিয়ে পরিচালক সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি এবং কিংবদন্তী নির্মাতা কাজী হায়াৎ বলেন

‘সিনেমার এই বাজারে একমাত্র শাকিব খানের ছবি মুক্তি পেলে কমপক্ষে ১০০ বন্ধ হল খোলে, ঈদে তার ছবি এলে মুক্তির আগে কোটি টাকা উঠে আসে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে স্বপন চৌধুরী নামে আরেক নির্মাতার সঙ্গে এফডিসির প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির অফিসে বসে আলাপকালে কাজী হায়াৎ এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘কারো নাম উল্লেখ করতে চাই না; তবে এটাই সত্যি যে অন্য নায়করা যেখানে ১০, শাকিব সেখানে একাই ১০০! শাকিবকে নিয়ে ছবি করলে সিনেমা হলের বাইরে ইউটিউব চ্যানেল, টিভি রাইটস এবং ওটিটি সবকিছু মিলিয়ে ১ কোটি টাকার বেশী বিক্রি হবে।’ তেজী, লুটতরাজ, দাঙ্গা, আম্মাজান, ইতিহাস-এর মতো বিখ্যাত ছবি বানিয়েছেন কাজী হায়াৎ। তিনি তার চার দশকের ক্যারিয়ারে ৫২টি ছবি পরিচালনা করেন।

২০২০ সালে কাজী হায়াৎ তার ৫০তম ছবি বানিয়েছিলেন শাকিবকে নিয়ে। ‘বীর’ নামে ওই ছবি শাকিবের নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস থেকে নির্মিত হয়েছিল। লম্বাসময় ধরে শাকিবকে দেখে কাজী হায়াৎ তার অভিজ্ঞতায় আলোকে দৃঢ়ভাবে বলেন, মূলধারার চলচ্চিত্র বাঁচানোর চাবি এখনও শাকিবের হাতে। ঈদ ছাড়াও অন্যান্য সময় শাকিবের ছবি মুক্তি পেলে প্রযোজক নিশ্চিতে ৫০ লাখ টাকা থেকে ৭৫ লাখ টাকা অগ্রিম পায়। যা আর কারো ক্ষেত্রে হয় না।

এদিকে পরিচালক সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে কাজী হায়াৎ বলেন, অনুদানের জন্য সরকার প্রতিবছর প্রচুর টাকা দিচ্ছে। ২০-২৫ কোটি টাকা দিলে এর অর্ধেক এফডিসিতে আনার চেষ্টা করবো। সেই টাকা দিয়ে মূলধারার নির্মাতা বাণিজ্যিক সিনেমা তৈরি করবে। এই টাকা দিয়ে ব্যবসা হলে আবার ফেরত দেবে। ইতিহাস কিংবা ভাষা আনন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ছবি বানানোর জন্য বাকি টাকা যেন সরকার ব্যয় করে।

বছরে এভাবে প্রতি বছর যদি ১০টি ছবি অনুদান দেয় তাহলে ১০ বছর মূলধারার ১০০ পরিচালক ছবি বানাতে পারবে বলে মনে করেন কাজী হায়াত। তিনি বলেন, আমি এগুলো সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে পাশ করানোর চেষ্টা করবো।

এদিকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে পরিচালকদের আবাসন ব্যবস্থার কথা বলেছিলেন কাজী হায়াৎ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণপূর্ত মন্ত্রী ও সচিবের কাছে বলবো, ১০-১২ একর জমি আমাদের দিয়ে ঘর তৈরি করে দেন। কোনো ইন্টারেস্ট নিয়েন না, যেদিন ফ্ল্যাটের মূল্যটা ভাড়ার টাকায় শেষ হবে সেদিন আমাদের লিখে দিয়েন। আমার মনে হয়, এমন সুন্দর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী, পূর্তমন্ত্রী ও সচিব মেনে নেবেন।

Back to top button