ধানের গোলায় ১০ লাখ, কবরস্থানে ৬ লাখ, শৌচাগারের ওপর থেকে কোটি টাকা উদ্ধার

রাজধানীর তুরাগ থানার দিয়াবাড়ী এলাকা থেকে লুট হওয়া ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি টাকার মধ্যে ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব টাকা পাওয়া গেছে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রামের বাড়ির ধানের গোলা, কবরস্থান, পয়োবর্জ্যের কূপ, শহরে আত্মীয়স্বজনদের বাসাবাড়ি এবং নিজেদের বাসার শৌচাগারের ওপর থেকে।

এই ডাকাত দলের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ১০ জন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা সবাই এখন কারাগারে আছেন। কার পরিকল্পনায় কীভাবে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল, লুটে নেওয়া টাকা কীভাবে ভাগ–বাঁটোয়ারা করে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, তা ওই ১০ জনের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে।

এরআগে, গত ৯ মার্চ মানি প্ল্যান্ট লিংক নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা রাজধানীর মিরপুরের ডিওএইচএস এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে টাকা নিয়ে সাভারের ইপিজেড এলাকায় ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম বুথে দিতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের গাড়ি তুরাগ থানার দিয়াবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস পথ আটকায়। তখন মানি প্ল্যান্টের কর্মীদের মারধর করে ওই গাড়িতে থাকা ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান ডাকাত দলের সদস্যরা।

এ মামলার তদন্ত তদারক করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সাইফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত লুট হওয়া ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করতে পেরেছি। বাকি ৩ কোটি ২০ হাজার টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

এ বিষয়ে মানি প্ল্যান্টের মহাব্যবস্থাপক সেলিম মিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বরিশালের সোহেল রানা একসময় আমাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। এখন পুলিশের কাছ থেকে জানছি, সোহেল রানাও আমাদের টাকা লুটের অন্যতম পরিকল্পনাকারী।’

Back to top button