রাজ-পরীর বিচ্ছেদ হয়নি, একসঙ্গে আছেন: রাজের বাবা

রাজের সঙ্গে এখন আর এক ছাদের নিচে থাকছেন না বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও গণমাধ্যমের কাছে কিছু বলেননি তার স্বামী। এদিকে রাজ মুখ না খুললেও তার বাবা মুসলিম মিয়া দাবি করছেন, একসঙ্গে আছেন পরীমণি-রাজ।

তিনি বলেন, ‘শুটিং শেষ করে রাজের বাসায় ফিরতে কিছুটা দেরি হয়। যা নিয়ে পরী রাগ করে। এই বিষয়টা নিয়ে তাদের মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয়। যার ফলে পরী এমন স্ট্যাটাস দিয়ে থাকতে পারে।’

রাজের বাবা আরও জানান, ‘পরী এখনও কিছুটা অভিমান করে থাকলেও তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভবনা নেই। রাজ-পরী ও আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আশাকরি ওদের দুজনের সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।’ মূলত গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে নায়িকা লিখেছেন,‘হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নাই।’

তবে এই চিত্রনায়িকা এই ‘ছুটি’ শব্দটাকে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ বুঝিয়েছেন কি না—সেটা স্পষ্ট করেননি। তাই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, এমনটা বলা যাচ্ছিল না। পরে একটি গণমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তাদের বিচ্ছেদ হয়নি। পরীমণি বলেন, ‘এখনও বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব।’

আলাদা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পরী আরও জানিয়েছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না। তার আচার-আচরণ একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নাই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। আমার মনমানসিকতা এখন ভালো নাই, এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর গোপনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বিয়ে করেন পরীমণি ও রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন এ বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য।

Back to top button