বাফুফে সভাপতি একজন নির্লজ্জ-বেহায়া মানুষ: ব্যারিস্টার সুমন
এবার নারী ফুটবল দলের মিয়ানমার সফর বাতিল নিয়ে সরগরম দেশের ক্রীড়াঙ্গন। যার জন্য কথা শুনতে হচ্ছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বাকিদের। ইতোমধ্যে উঠে এসেছে মিয়ানমারে মেয়েদেরকে না পাঠানোর কারণ সমূহ। এবার এই আলোচনার মধ্যেই বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে ধুয়ে দিলেন ব্যারিস্টার সুমন।
গত মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সালাউদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আপনারা জানেন যে সারা বাংলাদেশে মেয়েদের ফুটবল টিমকে পাঠানো নিয়ে কি পরিমান দুর্নীতি অভিযোগ ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে।
একেকটা ফুটবলের দাম ধরা হয়েছে সাড়ে আট হাজার টাকা। যে বিমানের টিকেটের দাম পচাত্তর হাজার। সেই টিকেটের দাম ধরা হয়েছে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা। লুটপাটের চরম অবস্থা হইছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।’
তিনি বলেন, ‘আমি যে কথা এক বছর আগে বলেছিলাম যে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি, যিনি একজন নির্লজ্জ-বেহায়া মানুষ। যার কারণে বাংলাদেশের ফুটবলটা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি সম্মান রেখে বলছি, উনি একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দেন। মুক্তিযোদ্ধা হয়ে দেশের এত বড় ক্ষতি করতে পারে কেউ, এটা আমার আগে জানা ছিল না। যিনি নিজের দেশের ফুটবলকে এভাবে ধ্বংস করতে পারে, তাকে আমি সম্মান করি না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যে ফুটবল নিয়ে আমাদের গর্ব করার কথা, আগে মালদ্বীপে আমরা ৭-৮টা করে গোল দিসি, এখন আমরা কিছুই পারি না। আমি মনে করে কাজী সালাউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী আবু নাইমরা যে সিন্ডিকেট, দুদক দ্বারা এদের সম্পদের হিসাব নেওয়া জরুরী। ২০২৩ সালে যে হিসেব তারা দিয়েছে, সেই হিসেবে ২০০৮ সাল থেকে তারা কি পরিমান দুর্নীতি করেছে এটার হিসাব টানা জরুরী। ফুটবল ফেডারেশনকে এসব সিন্ডিকেটমুক্ত করা জরুরী হয়ে পড়ছে।’
এদিকে নারী ফুটবল দলের মিয়ানমার সফর বাতিলের ইস্যুতে গতকাল বুধবার ১২ এপ্রিল জরুরী সভা ডাকে বাফুফে সহ সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। ভবিষ্যতে নারী ফুটবলকে নিয়ে আর কোনও সমস্যায় পড়তে চায় না ফেডারেশন, এমনটাই জানানো হয় সভা শেষে।