আমি এখন হাসতে পারি না: তাশরিফ খান
নেটদুনিয়ায় কুঁড়েঘর ব্যান্ডদল দিয়ে সংগীতের ভুবনে পা রাখেন গায়ক তাসরিফ খান। গান দিয়ে অল্প ক’দিনের শ্রোতাদের মন জয় করে নেয় ব্যান্ডদলটি। গান-বাজনার পাশাপাশি গেল বছর সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যার সময়ে ত্রাণ সহায়তায় কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করে ব্যাপক আলোচিত হন এই তরুণ গায়ক।
ঠোঁটের কোণে হাসি লেগে থাকা এই গায়ক এখন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাস্যোজ্জ্বল এই মুখে দেখা দিয়েছে ‘ফেসিয়াল প্যারালাইসিস’ নামের এক অসুখ। বিষয়টি দুদিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় জানান তাসরিফ।
বুধবার (০৭ মার্চ) দুপুরে যখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাঁর কথা হয়, তখন তিনি ফিজিওথেরাপি নিতে কলাবাগান যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, ‘নিয়মিত চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছি। পঞ্চম দিনের মতো আজ ফিজিওথেরাপি নিতে যাচ্ছি নতুন একটি ফিজিওথেরাপি সেন্টারে। পর্যবেক্ষণ করতে চাচ্ছি। এই কয় দিনের অভিজ্ঞতায় ফিজিওথেরাপি যেখানে সন্তোষজনক মনে হবে, এরপর সেখান থেকেই নিয়মিত এই থেরাপি নেব। সঙ্গে ওষুধও চলবে।’
তাসরিফ জানালেন, প্রতিদিন একবার করে তাঁর ফিজিওথেরাপি নিতে হবে। মা–বাবা কিছুটা দুশ্চিন্তা করলেও তাসরিফ নিজেই তাঁদের বুঝিয়েছেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। কারণ, এ ধরনের ৯৫ ভাগ রোগীই সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে এক থেকে দুই মাস সময় লেগে যায়।
তাসরিফ জানিয়ে রাখলেন, সব ধরনের পরিস্থিতির জন্যই তিনি তৈরি আছেন। বললেন, ‘কেউই বলেনি এটা শতভাগ ভালো হয়ে যাবে। এই রোগটা ঘাবড়ে যাওয়া মতো ব্যাপার। তবে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, প্রপার ট্রিটমেন্ট হলে রোগী শতভাগ সুস্থ হয়-ই। সেই পথেই আমি হাঁটছি। ঝুঁকি নিতে চাইছি না। সবার দোয়া থাকলে হয়তো, এক মাসেও সুস্থ হয়ে যেতে পারি।’
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ফেসবুকের লাইভে তাসরিফ বলেন, ‘আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। আমিও আমার যেকোনো কিছু আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। আমি চাই, সবাই জানুক। এটা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। যখন আয়নাতে নিজেকে দেখি, তখন খারাপ লাগলেও নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করি, ভালো হয়ে যাব। এখন আমি কিন্তু হাসতে পারি না। আমার মুখের এক পাশ বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। আমি এ–ও চিন্তা করি, অনেক মানুষের হাত-পা নেই, কত সমস্যায় রয়েছেন কত মানুষ। অথচ তারা থেমে নেই। তারা কিন্তু বড় বড় কাজ করছেন।’