নয়মাস বয়সী আইদাহ্ এখন বাবাকে চিনে গেছে: আসিফ

‘নয়মাস বয়সী আইদাহ্ এখন বাবাকে চিনে গেছে। একটু কাশি দিলেও অজানা উদ্বিগ্নতা নিয়ে চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে। ভাড়া বাসায় থাকি, ফ্ল্যাট পাল্টাতে হয়েছে বাড়ীওয়ালার নোটিসে।

বাসা বদলানো ইস্যুর ধুলোবালির পয়জনে বেগমেরও কাশি হয়ে গেছে। আইদাহ্ কাশি শুনলেই সন্দিগ্ধ হয়ে যায়। আজকালকার বাচ্চাদের ব্রেন কেমন যেন প্রোগ্রামিং করা, খুব সেনসিটিভ।

লিজেন্ড সলিল চৌধুরীর সৃষ্টি শিশুতোষ গান- বুলবুল পাখী ময়না টিয়ে, আয়না যা না গান শুনিয়ে। অন্তরা চৌধুরীর গাওয়া এই গান শৈশবে শুনেছি। আমার মেয়ে এই গানে ব্যাপক আসক্ত।

বেগমের শৈশবের প্রিয় গানটা এখন মেয়ের মধ্যে সংক্রমিত। মেয়েকে হ্যাপী রাখার জ্ন্য গানটা আমিও তুলেছি। আমি গাইলে আইদাহ খুব খুশী হয়, গানের মধ্যে যে পাখীর ডাক আর মিউজিক আছে- সেটা তো আমি দিতে পারিনা, এটা ওর অপছন্দ। লাইভ অডিওতে আইদাহ্ বিরক্ত হয়ে যায়, ছোট্ট হাতে থাবা মারে মুখ বরাবর। বুঝে গেছি – গোঁজামিলের দিন শেষ। কাস্টম মেইড জেনারেশনকে জাপানী মূলা দেখানোর সুযোগ নেই।

দিন কয়েক আগের কথা- আইদাহ্কে ঘুম পাড়ালাম দশ মিনিটও হয়নি! বড় ছেলে শাফকাতের সাথে ভিডিও কলে কথা বলছি টরন্টোতে, এখানে ভোর ওখানে সন্ধ্যা। আইদাহ্ বড় ভাইয়ের কন্ঠ শুনেই ঘুম থেকে উঠে গেল, ভাইয়ের সাথে দিব্যি হা হা হি হি করলো। আমিও সাবধান হয়ে গেলাম, বাচ্চাদের সাথে ভুলভাল কিছু বলা যাবেনা।

বাংলাদেশের সমাজ রাজনীতি পরিবারে সর্বত্র মিথ্যাময়তা এখন সর্বগ্রাসী শিল্প। এসব মিথ্যায় বিরক্ত হয়ে শিশুরা থাবা দেয়া শুরু করেছে। চলুন নিয়মিত মিথ্যাবাদী মুরুব্বীরা সাবধান হয়ে যাই। সতর্কতার প্রথম ধাপ হিসেবে আমি এখন শুদ্ধভাবে শিখছি- বুলবুল পাখী ময়না টিয়ে, আয় না যা না গান শুনিয়ে…
ভালবাসা অবিরাম …’

কন্ঠশিল্পী আসিফ
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

Back to top button