আমার পরিবার আমাকে নির্লজ্জের মতো হাসতে শেখায়নি: বুবলী
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে অপু বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে।
বুবলী লিখেছেন—আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনো দুমুখো সাপের আচরণ করতে শেখায়নি। সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেকবার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারণ জনগণের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায়নি।
গিরগিটির মতো রঙ বদলাতে শেখায়নি। কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষণেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায়নি। বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানান টকশোতে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মতো হাসতে শেখায়নি। মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসা শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি। কাউকে নানান অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায়নি। বাস্তবজীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি। তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সঙ্গে ইনিয়ে-বিনিয়ে নাটক করতে পারি না।’
‘আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই। কারও নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
তিনি আরও লেখেন— ‘কিছু দিন পর পর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদেরকে দিয়ে করায় তাদের সব কিছু সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা ও ইউটিউবে রয়েছে, যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’
বুবলী লিখেছেন— ‘এসব নোংরামি পাত্তা দেওয়ার রুচি থাকে না বলেই এসব নিয়ে আমার কথা বলা হয় না; কিন্তু চুপ থাকাকে যদি সে বা তারা সুযোগ পাওয়া মনে করে, তা হলে তা হবে তাদের চরম ভুল…।’
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বুবলীকে খোঁচা দিয়ে কথা বলেছেন অপু। তার পারিবারিক শিক্ষা নিয়েও কথা বলেছেন। এতেই চটেছেন বুবলী। শুধু মামলা করবেন বলেই ক্ষান্ত হননি। এর উত্তরও পোস্টে দিয়েছেন বুবলী।
এর আগে সংবাদমাধ্যমকে অপু বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে আমার কাছে সব সন্তানই পবিত্র। সব বাচ্চাই আমার স্নেহের। সন্তানের মানসিক বিকাশের জন্য পুঁথিগত বিদ্যার চেয়ে পারিবারিক শিক্ষা অতিজরুরি, দরকার। মানুষের সঙ্গে আচার-আচরণ কেমন হবে, আমি আমার বাচ্চাকে সেই শিক্ষা দিচ্ছি। তিন লাইনের বার্তায় সেটিই প্রকাশ করেছি আমি।’
এ ছাড়া বুবলীকে ইঙ্গিত করে সমালোচনা করেন অপু। তার পরই অপুর নাম না নিয়ে নিজের ফেসবুকে উত্তর দেন বুবলী।