নারী ফুটবল দলের কোচ চলেন রিকশায়, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আর ফিজিও চলেন এসি গাড়িতে
জাতীয় নারী দলের কোচ চলেন রিকশায় আর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আর ফিজিও চলেন এসি গাড়িতে। এমন বৈষম্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে।
জাতীয় নারী দলের কোচ গোলাম রাব্বানির বেতন লাখের কোটায় আর টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির বেতন প্রায় ১৫ লাখ।
নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন। বাংলাদেশের এই কোচ নিত্যদিনই তিন চাকার বাহনে (রিকশায়) করে আসা যাওয়া করেন ফুটবল ফেডারেশন থেকে শান্তিপুরে নিজ বাসায়। জাতীয় দলের কোচ হয়েও, নেই কোনো নিরাপত্তা, নেই কোনো চিন্তার বালাই।
অথচ তার দলেই ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করা পল স্মলি আর ফিজিওর জন্য দাঁড়িয়ে থাকে এসি কার। বসেরা নামলেই শীতল হাওয়া ছেড়ে গন্তব্যের দিকে ছুটতে থাকে চার চাকার গাড়িটা। বেতনের বৈষম্যটা চোখ কপালে ওঠার মতো। ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর যেখানে মাসিক বেতন পান প্রায় ১৫ লাখ টাকা। সেখানে হেড কোচ পান মাত্র ১ লাখ টাকা।
অথচ অর্জনে, গর্জনে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকাকে সবার উপরে উঁচিয়ে ধরায় সবার থেকে এগিয়ে এই গোলাম রাব্বানি ছোটন। জাতীয় ফুটবল দল যেখানে সাফ জেতার স্মৃতি ভুলতে বসেছে সেখানে তো নারী দলের সাফ জয় এখনো টাটকা।
নেপোলিয়ন বলেছিলেন, আমাকে একজন ভালো মা দাও, আমি তোমাকে একটি ভালো জাতি দেবো। ঠিক তেমনিভাবে একটি চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য প্রয়োজন একজন চ্যাম্পিয়ন কোচ। আর সেখানে চ্যাম্পিয়ন কোচ পেয়েও তার কদর করতে পারেনি বাফুফে।