মানুষের ভীতি দূর করতে আগে ভ্যাকসিন নিয়েছি : নাসিমা সুলতানা
অ’পপ্রচার বন্ধ করতে দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগের শুরুতেই এ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন বলে জাজান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা বেগম। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন খুবই সাধারণ একটি বি'ষয়। এটি নেয়ার সময় কোনো ব্যথা অনুভব করিনি।





একটি অ’পপ্রচার মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে যে, এটি ক্ষ'তিকর। সেজন্যই মানুষের ভীতি দূর করতে আমি আগে ভ্যাকসিন নিয়েছি। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) 'বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে করো’না টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন তিনি এসব কথা বলেন।
নাসিমা বেগম বলেন, একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে নিজে আগে না নিয়ে অন্যদের নিতে বলাটা ঠিক হবে না। এ বি'ষয়ে আমি আমা'র পরিবারের লোকজনকে, আমা'র সহকর্মীদেরও আগে থেকে জানাইনি। নিজে থেকেই সংকল্প করেছি প্রথম অবস্থায়ই আমি ভ্যাকসিন নেব।





তিনি আরও বলেন, ‘ছোটবেলায় ভ্যাকসিন নেয়ার সময় একটা ভীতি ছিল এবং আমর'া তখন ব্যথাও পেতাম। সবারই এমন অ'ভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু এখন সবকিছু আধুনিক, মানুষকে কম ক'ষ্ট দেয়ার জন্য। এখন যে নিডলটা ব্যবহার করা হচ্ছে এটি খুবই ছোট এবং চিকন। আমি কোনো ব্যথা অনুভব করিনি।’
‘তবে রাতের দিকে সামান্য ব্যথা 'হতে পারে। বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেয়ার সময় হালকা জ্বর হয়। যেখানে দেয়া হয় সে জায়গাটা হালকা ফুলে লাল হয়ে যায়। তখনই বোঝা যায় ভ্যাকসিন ভালো কাজ করছে। এটুকু আমা'দের মেনে নিতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের গু'রুত্বপূর্ণ পদে থাকা এই কর্মক'র্তা আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেয়ার পর সামান্য জ্বর, ব্যথা, খাবারে অরুচি, বমিভাব এরকম একটু 'হতেই পারে এটা স্বাভা'বিক। আবার নাও 'হতে পারে। এসব বি'ষয় মাথায় নিয়ে আমা'দের ভ্যাকসিন দিতে হবে।’
‘ভ্যাকসিন আসার আগে মানুষের অনেক আগ্রহ ছিল যে ভ্যাকসিন পেলে আমর'া সুরক্ষিত হবো। কিন্তু যেভাবেই হোক একটি অ’পপ্রচার মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে যে, এটি মানুষের ক্ষ'তি করবে। সেজন্যই আমি আগে নিয়েছি। মানুষের ভীতি দূর করতে।’




