এক প্রতিষ্ঠান থেকে মেডিকেলে চান্স পেলেন ৩৫ শিক্ষার্থী
এবারও নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ৩৫ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোবববার (১২ মার্চ) দুপুরে ফলাফল ঘোষণার পর এ তথ্য জানা যায়।
ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে- শাহরিয়ার হোসেন শিমুল পাবনা মেডিকেল কলেজে, আহসান হাবিব ইমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে, দীপংকর রায় দিব্য খুলনা মেডিকেল কলেজে, রিজভী নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে, আসাদুজ্জামান আসাদ নীলফামারী মেডিকেল কলেজে, সানজিদা শর্মি, আফিয়া ইবনাত ও সেজানুর রহমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজে।
শহীদ আফ্রিদি, ধীরাজ রায়, শ্রী দেবী রায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে, নওশিন নিধি মুগদা মেডিকেল কলেজে, ইসরাত জাহান পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে, রাফিন সাদ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে, রাফিয়া সুলতানা মাগুরা মেডিকেল কলেজে, পারভেজ, কানিজ ফাতেমা ও মাইশা ঢাকা মেডিকেল কলেজে।
রাকিবুল ইসলাম সিফাত, সাদিকুল হাবিব, রেজওয়ানা রিতু, অহনা, তাসিন বিনতে রিয়াজ, নাজিয়া নুসরাত ইমু, নাফিস ফুয়াদ, আফ্রিদি হাসান সিয়াম, বৃষ্টি রায়, তমালিকা হক রংপুর মেডিকেল কলেজে, সায়েম, জান্নাতুল ফেরদৌস, জিসান রসুল, ইশতিয়াক বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে, মুনতাসির শিহাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ও সানজিদা ফারজানা মেধা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি সুযোগ পেয়েছেন।
রেকর্ড পরিমাণ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় আনন্দ বিরাজ করছে সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। গেলো মাসেও এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশে এমন আনন্দে মেতেছিলেন সবাই।
ওই কলেজের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, স্যারদের নির্দেশনা ও আমাদের চেষ্টায় দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
সাদেকুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক বলেন, আজ আমি গর্বিত। শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাদের চেষ্টায় আজ আমাদের অভিভাবকদের মুখে হাসি।
এ বিষয়ে ওই কলেজের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি সুযোগ পেয়েছে। গত বছরের ৩৯ জন ভর্তি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে আমরা আনন্দিত।
সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুকী গণমাধ্যমকে বলেন বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে আমরা গর্বিত। এ মুহূর্তের আনন্দ ভাষায় বোঝাতে পারব না। তারা আগামীতে ভর্তিযুদ্ধে টিকে ভালো প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাবে বলেছিলাম। তারা সেটি বাস্তবায়ন করেছে৷
তিনি আরও বলেন, আমাদের কলজের পাঠদান চলে এনজয়েবল ক্লাসরুম লার্নিং পদ্ধতিতে। এজন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনার মনোভাব ও মননশীলতা বাড়ে। অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে একটি সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়।
এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালে ৩৯ জন, ২০২১ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন ও ২০১৮ সালে ৩৮ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল।