আমার চেয়ারের একটা মর্যাদা আছে: নান্নু
বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। নিজের ভূমিকা নিয়ে নানা সময়েই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই ক্রিকেটারকে। সহ্য করতে হয় বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনাও। বিষয়গুলো নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন টাইগারদের প্রধান এই নির্বাচক।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাম হাঁতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে ওয়ানডে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় নান্নু বলেছিলেন, স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ ওয়ানডে দলে চেয়েছেন তাইজুলকে। আবার বিসিবি সভাপতি দাবি করেছেন, নাসুম আহমেদের বদলে তাইজুলকে নেওয়া হয়েছে অধিনায়ক তামিমের চাওয়ায়। এ নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে ক্রিকেট পাড়ায়।
দল গঠনের সময় নিজেদের মধ্যে আলোচনা নিয়ে অবশ্য নান্নু মুখ খুলতে নারাজ, ‘অনেক ধরনের আলোচনাই হয়। সব আলোচনা তো আমি বাইরে করতে পারি না। বাইরে থেকে আলোচনা-সমালোচনা সবই হয়। আমি যে চেয়ারে আছি এটারও একটা মর্যাদা আছে। বিসিবি আমাকে বিরাট একটা দায়িত্ব দিয়েছে। এটা পালন করাও তো আমার দায়িত্ব। তাই চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য, দেশের ক্রিকেটকে উপরে নেওয়ার জন্য। কিছু জিনিস আছে যা বাইরে শেয়ার করা যায় না, নিজের কাছেই রাখতে হয়।’
নান্নুর দাবি, নির্বাচক প্যানেল টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনা করেই নেয় সব সিদ্ধান্ত। এমনকি মাত্র দলের সাথে যোগ দেওয়া চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও জড়িত ছিলেন ইংল্যান্ড সিরিজের দল গঠনে। তিনি বলেন, ‘আমি তো কো পুরোপুরি ইনপুট দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পুরো দৃশ্যপট ওকে জানানো হয়েছে। যেহেতু পরপর দুটি বিশ্বকাপ খেলেছি, তারপর এখন নতুন করে দলটা খেলছে। সেসব চিন্তাভাবনা ওকে জানানো হয়েছে, সাথে ক্যাপ্টেন ছিল। সবকিছু আলোচনা করেই দলটা দিয়েছি।’
নান্নু আরও বলেন, ‘সিলেকশন প্যানেলের প্রথম কাজ হল ওদের সাথে বসে ওদের প্ল্যান নিয়ে আগানো। তারপর দল তৈরি করি। আলোচনা না করে কোনোদিন দল করা হয় না। আগেই হয়নি, এখনও না। অধিনায়ক, প্রধান কোচ সবার সাথে আলোচনা করেই দল দেওয়া হয়।’