কারও সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক করিনি: আদালতে মডেল মেঘনা

মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দিয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। তিনি লেখেন, “আমি কোরআনের কসম খেয়ে বলছি, আমি কখনো  কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করিনি। আজও আমি কুমারী। শুধুমাত্র এক প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার কারণেই আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।”

মেঘনা দাবি করেন, আদালতে তিনি দুটি পবিত্র কোরআন হাতে নিয়ে শপথ করেছেন—যার একটি উপহার দিয়েছিল ঈসা এবং অন্যটি সৌদি বাদশাহর অনুমোদনে বিতরণকৃত। তিনি আরও বলেন, তাকে চরিত্রহীন বা লম্পট প্রমাণের অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।

সমাজে নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “দাড়ি-জুব্বা বা বোরখা দেখে মানুষ পবিত্রতা মাপে, আর খোলামেলা পোশাক দেখে নারীকে সহজলভ্য ভাবে। কিন্তু বাহ্যিক রূপ দেখে অন্তর বোঝা যায় না।”

এর আগে, ৯ এপ্রিল বসুন্ধরার বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন আদালতের আদেশে তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য আটক রাখা হয়। পরে ১৫ এপ্রিল বিদেশি এক কূটনীতিককে ব্ল্যাকমেইল করে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় মেঘনা ও ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

১৭ এপ্রিল আদালতের অনুমতিতে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় এবং ২৯ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান মডেল মেঘনা আলম। পুরো ঘটনাটি এখন ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে।